শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
ভারতকে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো হওয়া মানায় না,বিস্ফোরক তসলিমা

ভারতকে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো হওয়া মানায় না,বিস্ফোরক তসলিমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে তসলিমা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “২৪ বছর বয়সি তাবরেজ আনসারিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিটিয়েছে তারা, যারা তাকে জয় শ্রীরাম আর জয় হনুমান বলতে বাধ্য করেছে।

শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মরতে হয় তাবরেজকে। মোটর সাইকেল চুরি করতে চেয়েছিল তাবরেজ। বেটা চোর। কিন্তু চোরকে কি পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়? চোরকে কেনই বা জয় শ্রীরাম বলতে বলা হবে।

রাগটা কি তবে যত না সে চোর বলে, তার চেয়ে বেশি মুসলমান বলে? ভারত নিয়ে আমি কতই না গর্ব করি যে এই দেশটি সংখ্যালঘুদের বড় ভালো রাখে।

বাংলাদেশ আর পাকিস্তান তো তাদের সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে।কিন্তু কদিন পর পরই এই ভারতবর্ষে ঘটে যাচ্ছে সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে মারার কাহিনী, জোর করে জয় শ্রীরাম বলার কাহিনী।

রাম ভক্তদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে মানুষ খুন করার ঘটনাকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন এই লেখিকা। তিনি লেখেন–“আমি জানি না কী মনে করে এরা মুসলমানদের মুখ থেকে জয় শ্রীরাম শুনতে চায়।

রামের যারা ভক্ত, তারা তো জয় শ্রীরাম বলছেই, তাদের তো কেউ বাধা দিচ্ছে না। জয় শ্রীরাম বললে কি মুসলমানরা হিন্দু হয়ে যায় বা রামকে ঈশ্বর বলে মানতে শুরু করে?

তা তো নয়, বরং এসবের জন্য হিন্দুদের বদনাম হয়।পিটিয়ে কি ১৭ কোটি মুসলমানকে মেরে ফেলা যাবে, সে তো যাবে না। শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলা ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় নেই।

অন্যের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে দিনের পর দিন বাস করাও দুর্বিষহ।প্রাণের আরাম হয় না। সে কারণে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বই একমাত্র সমাধান। ভারত মহান। ভারতকে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো হওয়া মানায় না।

মতিহার বার্তা ডট কম-২৫ জুন ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply